সবার সামনে কথা বলেতে লজ্জা পাচ্ছেন পরিমনি!
বোটক্লাবে সেদিন রাতে আসলে কি ঘটেছিলো? তা জানাতে বলা হয় পরিমনিকে। সবার সামনে লজ্জায় মারধর, হুমকি ও যৌন হয়রানির মামলায় সাক্ষ্য দিতে আদালতে এসে সেদিনের ঘটনা বর্ণনা করতে পারছিলেন না চিত্রনায়িকা পরীমনি।
এজন্য আগামী ধার্য তারিখ থেকে মামলার বিচার ক্যামেরা ট্রায়ালে (রুদ্ধদ্বার কক্ষে বিচার) অনুষ্ঠিত হবে বলে জানান রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী।
সোমবার (২৪ জুলাই) সকাল সাড়ে ১০টায় পরীমনি আদালতে আসেন। দুপুরে পৌনে একটার দিকে ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৯ এর বিচারক শাহিনা হক সিদ্দিকার আদালতে তার সাক্ষ্যগ্রহণ দেওয়া শুরু হয়।
এ সময় আদালতে আইনজীবী, সাংবাদিক, পুলিশসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন। এতে সেদিন রাতে বোট ক্লাবে কি ঘটেছিল তার বিস্তারিত তুলে ধরতে ইতস্ততবোধ করছিলেন পরীমনি।
তখন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী সহিদ উদ্দিন ঢালী বলেন, পরীমনি লজ্জায় অনেক কথা বলতে পারছেন না। এসব কথা বলাও যায় না।
তখন বিচারক বলেন, আপনারা তাহলে মামলার বিচার ক্যামেরা ট্রায়ালে করার আবেদন করেন। যথাযথ ব্যবস্থা নেব।
তখন বিচারক পরীমনির কাছে জানতে চান, আপনি কি সাক্ষ্য দেওয়ার জন্য ফিট আছেন? পরীমনি বলেন, আজকে ফিট না। আমি মানসিকভাবে প্রস্তুত না। আর সবার সামনে এসব কথা বলতে চাচ্ছি না।
এরপর আদালত আগামী ১৩ সেপ্টেম্বর তার অবশিষ্ট সাক্ষ্যের তারিখ ধার্য করেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী সহিদ উদ্দিন ঢালী জানান, আজকেই মামলার বিচার ক্যামেরা ট্রায়ালে পরিচালনার আবেদন করব। আশা করছি, আগামী ধার্য তারিখ থেকে মামলাটির বিচার ক্যামেরা ট্রায়ালে অনুষ্ঠিত হবে।
গত বছর ২৯ নভেম্বর পরীমনি এ মামলায় প্রথম দিন সাক্ষ্য দেন। তিনি অসুস্থ থাকায় এরপর কয়েকদফা সাক্ষ্য নেওয়া পিছিয়ে যায়।
এই মামলার আসামি হলেন- নাসির উদ্দিন, তুহিন সিদ্দিকী অমি ও শহীদুল আলম। এদিন তারা আদালতে হাজিরা দেন। গত বছর ১৮ মে আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন।
এরআগে, ২০২১ সালের ১৪ জুন নাসির উদ্দিন ও অমির নাম উল্লেখ করে এবং চারজনকে অজ্ঞাত আসামি করে ঢাকার সাভার থানায় মামলা দায়ের করেন পরীমনি। মামলাটি তদন্ত শেষে ২০২১ সালের ৬ সেপ্টেম্বর আদালতে নাসিরসহ তিনজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা সাভার থানার ইন্সপেক্টর কামাল হোসেন।