ভারতের নিষেধাজ্ঞা: বাড়ছে চালের দর
বিরূপ আবহাওয়ার প্রভাবে চলতি বছর ভারতে ধান উৎপাদন ব্যাহত হয়েছে। ফলে দেশটিতে চালের দাম বেড়ে গত ৫ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চে উঠেছে। তাতে লাগাম টানতে এবং অভ্যন্তরে সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে খাদ্যপণ্যটি রপ্তানি নিষিদ্ধ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার।
এতে বিশ্ববাজারে সরবরাহ সংকট দেখা দেয়ার উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে।
এর জেরে ইতোমধ্যে অনেক দেশে চালের দর বৃদ্ধি পেয়েছে। ভিয়েতনামে রপ্তানি মূল্য বিগত ১০ বছরের মধ্যে সর্বাধিক উচ্চতায় পৌঁছেছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলছে, এ সপ্তাহে প্রতি মেট্রিক টন ভিয়েতনামের ৫ শতাংশ ভাঙা চালের দর স্থির হয়েছে ৫১৫ থেকে ৫২৫ ডলারে। ২০১১ সালের পর যা সবচেয়ে বেশি।
গত সপ্তাহে যা ছিল ৫১০ থেকে ৫১৩ ডলার।
হো চি মিন সিটিভিত্তিক এক ব্যবসায়ী বলেন, এল নিনোর বিরূপ প্রভাবে বিশ্বের শীর্ষ উৎপাদনকারী দেশগুলোতে ধান উৎপাদন কমতে পারে। এ আশঙ্কায় বহু দেশ মজুত বাড়াচ্ছে। এতে চাহিদা আরও শক্তিশালী হয়েছে।
বিশ্বের প্রায় ৩০০ কোটি মানুষের প্রধান খাদ্য চাল। আর বিশ্বব্যাপী খাদ্যপণ্যটি মোট রপ্তানির ৪০ শতাংশই করে ভারত। সম্প্রতি দেশটি তাতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করায় অসংখ্য দেশে দর ঊর্ধ্বগামী হয়েছে।
অবশ্য চলমান সপ্তাহে ভারতের ৫ শতাংশ ভাঙা চালের মূল্য স্থিতিশীল রয়েছে। মেট্রিক টনপ্রতি দাম নিষ্পত্তি হয়েছে ৪২১ থেকে ৪২৮ ডলারে। বিগত ৫ বছরের মধ্যে তা প্রায় সর্বোচ্চ।
ভারতীয় চাল রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান সত্যম বালাজির নির্বাহী পরিচালক হিমাংশু আগারওয়াল বলেন,ভারতে চালের দাম ঊর্ধ্বমুখী রয়েছে। ফলে এদেশ থেকে ভোগ্যপণ্যটির রপ্তানি কমিয়েছে বাইরের দেশগুলো।
এবার প্রতিবেশী বাংলাদেশে ধানের ভালো ফলন হয়েছে। পাশাপাশি মজুতও পর্যাপ্ত রয়েছে। তা সত্ত্বেও চালের দাম কমাতে লড়াই করছে দেশটির সরকার। এ পরিস্থিতিতে দরিদ্রদের সাহায্য করতে চলতি সপ্তাহে ভর্তুকিযুক্ত চালের বিক্রি বাড়িয়েছে তারা।